স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্ সূচকের বড় উত্থান প্রবণতা এবং লেনদেনে ভালো গতি দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের সঙ্গে কমেছে প্রধান মূল্যসূচকও। তবে শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। অবশ্য এ বাজারটিতেও দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কমেছে লেনদেন।
এদিকে, ডিএসইতে গত কয়েক কার্যদিবসের মতো তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ে। ক্রেতা সংকটে পড়ে নতুন করে আরও ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) চলে এসেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ার দিনে ডিএসইতে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৫টির এবং ২১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনের লেনদেন শেষে প্রধান মূল্যসূচক কমলেও শুরুর চিত্র ছিলো ভিন্ন। লেনদেনের শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১১ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে লেনদেন হয় দুই’শ কোটি টাকার ওপরে। সূচকের মতো শেষ দিকে লেনদেনেও ধীরগতি ফিরে আসে। এতে দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬১২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেমিনি সি ফুডের ৩৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, ইস্টার্ন হাউজিং, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, এডিএন টেলিকম, ইউনিক হোটেল, বাংলা শিপিং কর্পোরেশন এবং লিগাসি ফুটওয়্যার।
শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৮টির এবং ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।