ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ফার্মা ও রসায়ন খাতের ১১ কোম্পানির

0

 

 

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ এবং রসায়ন খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টি কোম্পানি ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থ বছরের নিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে ১১টি কোম্পানির শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১৫টি কোম্পানির। একটি কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ। আর ছয়টি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য নিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ফার্মা খাতের এই ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে রেকিট বেনকিজার ডিসেম্বর ক্লোজিং এবং ম্যারিকো মার্চ ক্লোজিং কোম্পানি। শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো বৃদ্ধি পাওয়া ১১টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এসিআই, একটিভ ফাইন, বিকন ফার্মা, ফার কেমিক্যালস, ম্যারিকো, নাভানা ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, স্যালভো কেমিক্যালস, সিলভা ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা এবং ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড।

এসিআই: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ থেকে পজিটিভ হয়েছে।

একটিভ ফাইন: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর নেগেটিভ থেকে পজেটিভ হয়েছে।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা।

ফার ক্যামিক্যাল: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ১৮ পয়সা।

ম্যারিকো বাংলাদেশ: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১৪ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১০৪ টাকা ৯১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৯ টাকা ৫৫ পয়সা।উল্লেখ্য, কোম্পানিটি মার্চ ক্লোজিংয়ের।

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৫২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৯৬ পয়সা।

ওরিয়ন ইনফিউশন: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৮৩ পয়সা।

স্যালভো ক্যামিকেল: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ০৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৩ টাকা ৪৩ পয়সা।

সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ০১ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১২ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা।

ওয়াটা কেমিক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৬২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ২ টাকা ৭১ পয়সা।

ফার্মা খাতে ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ থাকা একমাত্র কোম্পানি এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৫৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পজেটিভ থেকে নেগেটিভ।

আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করা ছয় কোম্পানির মধ্যে রয়েছে কেয়া কসমেটিক্স, লিব্রা ইনফিউশনস, এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস,বেক্সিমকো সিনথেটিক্স, গ্লোবাল হেভি এবং ইমাম বাটন লিমিটেড।

Leave A Reply

Your email address will not be published.