ক্রেতা সংকটে পুঁজিবাজারে দরপতন

0

 

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে নতুন করে দরপতন চলছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সূচকের পতন হয়েছে ১৯ পয়েন্টে। পরের দিন সোমবার পতন হয়েছে ৪৯ পয়েন্ট। গতকাল তৃতীয় কার্যদিবসে পতন থেমেছে ৪৬ পয়েন্টে। তিন দিনে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১১৪ পয়েন্ট।

এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের আধাঘণ্টা না গড়াতেই দেখা যায় উল্টোচিত্র। অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেন শেষে ক্রেতাশূন্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪টিতে। ক্রেতা সংকট দেখা দেয়ায় দিনশেষে মাত্র ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর বাড়ে। বিপরীতে দর কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২৮২টি। আর বাকি ৪৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩১১ পয়েন্টে নেমেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

ডিএসই লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৮২টির বা ৭৩ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে তাল্লু স্পিনিংয়ের। আগের কার্যদিবস সোমবার তাল্লু স্পিনিংয়ের দর ছিল ১০ টাকা। লেনদেন শেষে এর সমাপনী দর দাঁড়ায় ৯ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারদর ২০ পয়সা বা ২ শতাংশ দর কমেছে। এর মাধ্যমে তাল্লু স্পিনিং ডিএসইর দরপতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, এপেক্স ট্যানারির ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ইফাদ অটোর ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও শাইনপুকুর সিরামিকসের ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর কমেছে।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ২৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, শাহিনপুকুর সিরামিক, আরএকে সিরামিক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এইচআর টেক্সটাইল, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।

এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ২৭ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১১টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.