ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ১৭.৬৩ শতাংশ

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে’র বেড়েছে আয়। তবে একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কমেছে ব্যয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। একই সাথে কোম্পানিটির অনুমোদিত ব্যয় সীমার চেয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৭ শতাংশ খরচ কম হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের সর্বশেষ সমাপনী হিসাব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম বর্ষ বা নতুন প্রিমিয়াম ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়াম ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে’র মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ শুরু থেকেই বীমা আইন- ২০১০ সহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আদেশ-নির্দেশের আলোকে পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনায় সুপরিকল্পিতভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। গ্রাহকদের অকৃত্তিম ভালোবাসা এবং কোম্পানির পরিচালক-শেয়ারহোল্ডারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা খুব স্বল্প সময়েই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পেরেছি।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের এই মুখ্য নির্বাহী আরও বলেন, শুরু থেকেই আমরা গ্রাহকসেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় এসবি ও ম্যাচ্যুরিটি প্রতিদিনের দাবি প্রতিদিন পরিশোধসহ ১৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুদাবি পরিশোধ কার্যক্রম অব্যাহত । গ্রাহকসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ আরো সামনে এগিয়ে যেতে চায়, বলেন কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন।

প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০২১ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৩০ কোটি ২ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০২২ সালে বীমা কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ১৭.৬৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ব্যবস্থাপনা খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছে ১৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

অর্থাৎ ২০২২ সালে অনুমোদিত ব্যয় সীমার চেয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৭.০৬ শতাংশ কম খরচ করেছে চতুর্থ প্রজন্মের লাইফ বীমা কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ।

২০২২ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ২৬.২৪ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এ ছাড়াও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের সম্পদ বেড়েছে ১২ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ কোটি টাকা।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি।

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।

কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে জনসাধারণের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পেয়েছে। এজন্য ১০ টাকা অবিহিত মূল্যের এক কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছাড়তে হবে।
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স মূলত জীবন বিমা করে থাকে। এছাড়া তারা গ্রুপ বিমা ও ক্ষুদ্র বিমাও রয়েছে তাদের সেবার তালিকায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.