স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে, এর মধ্যেও ডিএসইতে ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
এদিকে শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও বিমা খাত ছিল কিছুটা বিপরীত অবস্থানে। ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে, তার ৫০ শতাংশই বিমা কোম্পানি। তালিকাভুক্ত ২৬টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২টির।
অপরদিকে, সব খাত মিলে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৯টির। আর ১৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান নাম লেখাতে পেরেছে, তার দ্বিগুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭০০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৩৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
গত কয়েক কার্যদিবসের মতো লেনদেনের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৬ কোটি ৮২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ২১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী পেপার, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার এবং ইয়াকিন পলিমার।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৯টির এবং ৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।