স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবারও (১০ মে) লেনদেনের শুরুতে চাঙ্গাভাবে ছিল শেয়ারবাজার। কিন্তু আধা ঘন্টা পর চাঙ্গাভাব ধরে রাখা যায়নি। এই সময়ে সেল প্রেসার বেড়ে যাওয়াতে বাজার নেতিবাচক প্রবণতায় মোড় নেয়। লেনদেনের শেষ এক ঘন্টায় নেতিবাচক প্রবণতা আরও ঘনীভূত হয়।
আজ শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের দিনের থেকে বেড়েছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ৩২.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৬৫.৬১ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫.২৪ পয়েন্ট বা ০.৩৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৬২ পয়েন্ট বা ০.৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৪৮.৮৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৩৫.৭৭ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২০৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির বা ৩৪.২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২০৫টির বা ৫৩.৯৫ শতাংশের এবং ৪৫টির বা ১১.৮৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই আজ ১২২.৯২ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫১৬.২১ পয়েন্টে।
সিএসইতে আজ হাত বদল হওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর। আজ সিএসইতে ৪৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
