বাংলাদেশ ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

0

 

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি অপশনগুলো উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি।’

আজ মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত ‘সাউথ সাউথ এক্সচেঞ্জ: ইন্টারগ্রেটিং ইকুয়াল অ্যান্ড সোস্যাল ইন ক্লাইমেট বাজেটিং অ্যান্ড প্লানিং প্রসেস অ্যান্ড ইনোভেটিভ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ইন এশিয়া- প্যাসিফিক রিজিওন’ শীর্ষক সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাতে ও বাংলাদেশের সাফল্যের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বাংলাদেশের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট পলিসি, যেমন ১৯৯৫ এর পরিবেশ রক্ষা আইন, ২০১০ এর জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বৈদেশিক এবং নিজস্ব অর্থ সহায়তায় সম্পাদিত কার্যক্রম এবং এর বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন।

ইউএনডিপি’র ক্লাইমেট ফাইনেন্স নেটওয়ার্ক এবং ইউএনডব্লিওওমেন- এর উদ্যোগে সম্মেলনটি আয়োজনে সহযোগি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকারের নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়।

সম্মেলনে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ‘ইমপেক্ট অব ক্লামেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইনক্লোসিভ ফাইন্যান্স: পাসপ্যাকটিভ বাংলাদেশ’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

দেশের বর্তমান জলবায়ু, বর্তমান বিশ্বমন্দা, জলবায়ু অর্থায়নের কার্যক্রম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাথে সাথে ইউরোপ-আমেরিকাতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটছে। এতে বুঝা যায় প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী। মানবসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ড, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যাধিক ব্যবহার, বন ধ্বংস, পানিসম্পদ বিনষ্টসহ নানাভাবে প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং প্রকৃতি এসব থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সপ্তম মোস্ট ভালনারেবল দেশ এবং বাংলাদেশকে বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশই সমুদ্রে পৃষ্ঠা থেকে মাত্র ১৫ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। আমাদের দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়েছে অথবা হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। মাটির লবণাক্ততা এবং পানির অভাবসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাবে বাংলাদেশের কৃষি এবং অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

ইউএনডিপি’র আমন্ত্রণে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সম্মেলনে ডেভেলপমেন্ট পার্টনার অর্গানাইজেশন ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনসহ এই অঞ্চলের ১০টি দেশ অংশগ্রহণ করে। ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ফিজি ও কম্বোডিয়া নিজ নিজ প্রেক্ষিত থেকে জলবায়ু ও লিঙ্গ সমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেটিং এবং জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব সমন্বিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.