বিনা খরচে সিডিবিএল থেকে শেয়ারের তথ্য পাবেন বিনিয়োগকারীরা

0

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে বিনা খরচে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা ই-মেইলে বিও হিসাবের (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) তথ্য পাবেন। এই তথ্য প্রাপ্তিতে বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে কোন ফি বা খরচ নেয়া হবে না। বিনিয়োগকারীরা বিও হিসাব খোলার সময় বিও ফরমে যে ই-মেইল এড্রেস দিবেন, সেই ই-মেইল এড্রেসে তাদের বিও হিসাবে থাকা শেয়ারের বিস্তারিত তথ্য সংক্রিয়ভাবে চলে যাবে। গত রবিবার (৩০ জানুয়ারি) নতুন এই সেবা চালু করেছে শেয়ারবাজারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিও হিসাব ও শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ডিডিবিএলের এই সেবা চালু করেন। বিএসইসির আগারগাঁও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও আবদুল হালিম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ্র কান্তি চৌধুরী। আর নতুন এই সেবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সিডিবিএলের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন থেকে প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বিনিয়োগকারীর ই-মেইলে তাঁর বিও হিসাবের আগের মাসের লেনদেন তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ বিবরণী বা স্টেটমেন্ট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে যাবে। তবে এই জন্য বিও হিসাবের সঙ্গে দেওয়া ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর সঠিক হতে হবে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি নানা কারসাজির মাধ্যমে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। নতুন এই সেবা এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সহায়তা করবে। বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসে সিডিবিএল থেকে পাওয়া প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউস থেকে পাওয়া তাদের বিও হিসাবের তথ্য মিলিয়ে নিতে পারবেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সিডিবিএল তাদের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের অংশ হিসেবে অনলাইনে ঘরে বসে বিও হিসাব খোলার সুবিধা চালু করে। যদিও অনলাইনে বিও হিসাব খোলার ওই সেবায় এখনো বিনিয়োগকারীদের আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এক বছরে মাত্র ৬ হাজারের মতো বিও হিসাব খোলা হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে।

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে শেয়ারবাজার সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এর মধ্যে শেয়ার রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ বিও হিসাবে। শেয়ার শূন্য বিও হিসাব রয়েছে প্রায় সোয়া ৪ লাখ। আর এক লাখের বেশি বিও হিসাব অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.