স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ হাউসের একটি বিও হিসাব থেকে গতকাল ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা সমমূল্যের তিনটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়। এ তিনটি কোম্পানির শেয়ার সূচকে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
কোম্পানি তিনটি হচ্ছে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি)। পরে বিএসইসির পক্ষ থেকে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের কাছ থেকে বিও হিসাবটির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
সিডিবিএলের পক্ষ থেকে বিএসইসিকে জানানো হয়, বিও হিসাবটি ২০১৮ সালের জুনে বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও কীভাবে বন্ধ বিও থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হলো, তা নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ কারণে ব্র্যাক ইপিএলের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে। বিও হিসাব থেকে তিন কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেল প্রেসারের প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে সূচক নি¤œমুখী হয়। সবচেয়ে বেশি সূচক কমে গ্রামীণফোনের। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ কারণে ডিএসইর সূচক কমে ৭ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারদর কমে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমে ২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২২ টাকা ১০ পয়সায়। বিএটিবিসির শেয়ারদর কমে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানে জেনেছি, বন্ধ বিও হিসাব থেকে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলো শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান-পতনে বড় ভ‚মিকা রাখে। কীভাবে বন্ধ বিও থেকে শেয়ার বিক্রি করা হলো, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা ও তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএসইসি সূত্র বলছে, যে বিও হিসাবটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, সেটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব। এই বিও হিসাবে রক্ষিত শেয়ারের কাস্টডিয়ান বা হেফাজতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। তাই এইচএসবিসির কাছেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুর রহমান বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো চিঠি হাতে পাইনি।’