শেষ ঘন্টায় ইতিবাচক ধারায় শেয়ারবাজার

0

 

স্টকরিপোর্ট ডেস্ক : গত শনিবার (২৫ জুন) ছিল জাতির জন্য এক স্মরণীয় দিন। সেদিন জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন হয়। বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিল পরের দিন রবিবার (২৬ জুন) শেয়ারবাজারে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু শেয়ারবাজার তার ধারেকাছেও যায়নি। বরং আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় গতকালও শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত থাকে।

আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৭ জুন) আগের দিনের পতনের ধারাবাহিকতায় লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের ৪০ মিনিটের মাথায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১১ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। তারপর দুপুর ১২টার দিকে সূচক ইতিবাচক প্রবণতায় টার্ন নেয়। এই সময়ে সূচক ২০ পয়েন্টের বেশি ঊর্ধ্বমুখী হয়। তারপর সূচকের ফের পতন শুরু হয়। বেলা দেড়টায় সূচক ৩ পয়েন্ট নেমে যায়। কিন্তু শেষ এক ঘন্টায় বাজারের চিত্র পুরো পাল্টে যায়। সূচক এক লাফে ২৫ পয়েন্ট উঠে যায়। যদিও অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে শেষে সূচক বৃদ্ধি ১৯ পয়েন্টে স্থির হয়।

এদিকে আজ সকাল থেকেই লেনদেনে ছিল শ্লথ গতি। বেলা ২টা পর্যন্ত কোনো রকমে টেনেটুনে পাঁচ’শ কোটি টাকা ছাড়ায় ডিএসইর লেনদেন। কিন্তু পরের আধা ঘণ্টায় পাল্টে যায় লেনদেন চিত্রও। শেষ আধা ঘণ্টায় দুই’শ কোটি টাকার লেনদেন যোগ হয়। অর্থাৎ সূচক বদলে যায় শেষ এক ঘন্টায়। আর লেনদেন বদলে যায় শেষ আধা ঘন্টায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৩০ জুন, ২০২২ বাজেট পাশ হবে। সে পর্যন্ত বাজার ওঠানামার মধ্যেই থাকবে। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা বাজেট পাশ পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করবেন। তবে বাজেট পাশের পরের সপ্তাহে অর্থাৎ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাজার ইতিবাচক প্রবণতায় টার্ন নিতে পারে। বাজার সংশ্লিষ্ট সবাই এমনটাই জোর দিয়ে বলছেন।

সোমবারের বাজার চিত্র: আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯.২৪ পয়েন্ট বা ০.৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩২০.৩৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.৯৩ পয়েন্ট বা ০.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮০.৮০ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ১.৩৮ পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৮৫.২১ পয়েন্টে।

টাকার পরিমাণে ডিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১০৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার।

ডিএসইতে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩৭টির বা ৬২.০৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৯১টির বা ২৩.৬২ শতাংশের এবং ৫৪টির বা ১৪.১৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৫৪.২৪ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬২৭.৪৯ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির দর। আজ সিএসইতে ৬১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.