অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে রয়েল টিউলিপের শেয়ারের দাম!

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নির্ভরশীল কোম্পানির শেয়ার যখন দিনের পর দিন সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে, তখন টানা বেড়েই চলেছে কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেলের মালিকানা প্রতিষ্ঠান সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ারের দাম। মাত্র তিন মাসে তিন গুণের বেশি বেড়েছে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। টানা উত্থানের ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ টাকা ৪০ পয়সায়।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ আগস্টে কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৫৮ টাকা। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দিন শেষে তা বেড়ে তিন গুণ হয়ে গেছে। সি পার্ল রিসোর্টের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয় মূলত গত সেপ্টেম্বর থেকে।

এ মূল্যবৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই বলছেন, এভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়লেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্তের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এ কারণে কারসাজিকারীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বিএসইসির পক্ষ থেকে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হলে কোম্পানিটির শেয়ারের বড় ধরনের কারসাজির প্রমাণ মিলবে বলে দাবি করেন অনেকে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরও আগে এ উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল। তাহলে দামের উল্লম্ফন দেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারে খুব বেশি আকৃষ্ট হতেন না।

সূত্র জানায়, অক্টোবর থেকে টানা দাম বাড়তে শুরু করলেও এর পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোনও তথ্য ছিল না। ১২ অক্টোবরে কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর আগেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১৫০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এরপর ১৩ অক্টোবর কোম্পানিটি গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে কোম্পানিটি জানায়, উল্লিখিত প্রান্তিকে তাদের মুনাফায় বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। তাতে আরেক দফা বাড়তে শুরু করে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ছয়ে উঠে আসে। এদিন এককভাবে কোম্পানিটির প্রায় ১২ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। আর দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ বা ৮ টাকা ৩০ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের হিসাবে এটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৩০০-এর ওপরে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পিই রেশিও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬-এ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোম্পানির পিই রেশিও যত বেশি, সেই কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য তত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.