ডিএসইর নতুন ও পুরনো ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে বৈষম্য

0

 

 

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন ট্রেডিং রাইট টাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) হোল্ডার ও পুরানো ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে ট্রেডিং ওয়ার্ক স্টেশনের (টিডব্লিউএস) চার্জ প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। নতুন ট্রেক হোল্ডাররা পুরনো ট্রেক হোল্ডারদের মতো একই পরিমাণ ট্রেডিং ওয়ার্ক স্টেশনের চার্জ বা ফি প্রদানের দাবি জানিয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, নতুন ট্রেক হোল্ডাররা সোমবার ডিএসই চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবুর সাথে দেখা করে এ দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, নতুন ট্রেক হোল্ডারদের একটি একক ট্রেডিং ওয়ার্ক স্টেশনের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা চার্জ প্রদান করতে হয়। এ চার্জ পুরানোদের মতো চার শ্রেনীতে ভাগ করে টাকার পরিমান কমানোর দাবি জনায় তারা।

সূত্রমতে, গত দুই বছরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইর জন্য ৫৮টি নতুন কোম্পানিকে ট্রেক’র অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেক তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। যদিও অনুমোদন প্রাপ্ত অধিকাংশই এখনও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

বিদ্যমান বা পুরানো ট্রেক নীতি অনুসারে, এক থেকে ১০টি পর্যন্ত প্রতি ষ্টেশনের জন্য ৫ হাজার টাকা; ১১ থেকে ২০টি পর্যন্ত প্রতি ষ্টেশনের জন্য ১০ হাজার টাকা; ২১ থেকে ২৫ ষ্টেশনের জন্য প্রতি ষ্টেশনের জন্য ২৫ হাজার টাকা; এবং ২৬টি থেকে এবং এর উপরে প্রতি ষ্টশনের জন্য ৩০ হাজার টাকা ট্রেকগুলো ডিএসইকে প্রদান করে।

নতুন ট্রেক হোল্ডাররা বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, যা নতুন ট্রেকের ব্যবসায়িক সম্ভাবনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা পরিচালনা পর্ষদে প্রতিনিধিত্ব দাবি করেছে।

এ বিষয়ে একজন পুরানো ট্রেক হোল্ডার বলেন, নতুন ট্রেক হোল্ডাররা কম টাকায় ট্রেক কিনেছে, এবং আমরা অনেক আগে বেশি দামে ট্রেক কিনেছি। সুতরাং আমরা এবং তারা একই সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ দেখছি না।

বৈঠকশেষে ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, নতুন ট্রেক হোল্ডাররা দাবি নিয়ে এসেছেন। আমরা তাদের কথা শুনেছি। এখন বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বোর্ডের সদস্যদের সাথে আলোচনা করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.