স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : আস্থাহীনতায় পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস গতকাল সোমবার লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টায় প্রায় তিনশ’ কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতার দেখা মেলেনি। উল্টো বিক্রেতারা শেয়ার বিক্রির অর্ডার দিয়ে বসে আছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেেঞ্জে (ডিএসই) এ চিত্র দেখা গেছে।
গতকাল দুপুর ১২টায় দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা নেই। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের রয়েছে ১৮টি ব্যাংক। বাকিগুলো অন্যান্য খাতের কোম্পানি। ফলে এসব কোম্পানির লেনদেন আপাতত হচ্ছে না। ব্যাংক-বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের শেয়ারে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
এদিকে আগের কার্যদিবসের মতো সোমবারও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারর প্রধান সূচক সামান্য কমেছে। তবে অন্য সূচকগুলো বেড়েছে।
প্রধান সূচক কমলেও শেয়ারবাজারে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। আর শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অধিকাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০.৭৬ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯১.৫৪ পয়েন্টে। ডিএসই’র অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরীয়াহ্ সূচক ০.৩৫ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.২৭ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫২.৫৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯১.৭৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে সোমবার ৩৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ২৮৪ কোটি ২০ লাখ টাকার। ডিএসইতে সোমবার ৩২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩২টির বা ৯.৭৯ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৩১টির বা ৪০.০৬ শতাংশের এবং ১৬৪টির বা ৫০.১৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪.৪৬ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০১.৭৪ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১৪৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৫টির আর ৭৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
