দুই কারণে ওষুধ কোম্পানির মুনাফায় ভাটা

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: ডলারের উচ্চ দরের কারণে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ শীর্ষস্থানীয় ১৩ ওষুধ কোম্পানির মুনাফায় ভাটা দেখা দিয়েছে। কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

যদিও বছরের ব্যবধানে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ও বিক্রি বেড়েছে, তারপরও পণ্যের উচ্চ উৎপাদন মূল্য ও কাঁচামাল আমদানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিগুলোর মুনাফায় এই ভাটা দেখা দিয়েছে বলে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও ওষুধের বিক্রি মূল্য সেভাবে বৃদ্ধি করা যায়নি। যে কারণে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ও রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু মুনাফা বৃদ্ধি পায়নি, মুনাফা বরং কমেছে।

তবে কিছু কিছু কোম্পানি নানা সঙ্কটের মধ্যেও তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় ঊর্ধ্বগতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ, ইবনে সিনা, নাভানা ফার্মা ও এ্যাম্বি ফার্মা লিমিটেড। এই চারটি কোম্পানি নানা সঙ্কটের মধ্যেও মুনাফায় অভাবনীয় সফলতা দেখিয়েছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শেয়ারনিউজ পাঠকদের জন্য মুনাফায় ভাটা থাকা শীর্ষ স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর নাম ও মুনাফার বিবরণ নিচে তুলে ধরা হলো:

স্কয়ার ফার্মা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ১৫ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ৮২ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ১৬ টাকা ৩০ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ৩৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা।

বেক্সিমকো ফার্মা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪৭ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ১৫ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৯ টাকা ৬০ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা ৬৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮৯ টাকা ১৩ পয়সা।

রেনেটা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ০৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৯২ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৩ টাকা ৩৪ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৩৫ টাকা ৮৭ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬৬ টাকা ৯৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৫৬ টাকা ৪৩ পয়সা।

এসিআই : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪২ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ৬৭ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৬৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৩৫ টাকা ২২ পয়সা।

এসিআই ফরমুলেশন : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ২৪ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৭৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৫ টাকা ৮৮ পয়সা।

ওরিয়ন ফার্মা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০৫ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪৪ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ০৭ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৫১ পয়সা(। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৪ টাকা ৬২ পয়সা।

ওরিয়ন ইনফিউশন : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৫ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৪ টাকা ২২ পয়সা।

বিকন ফার্মা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৯ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৮ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৬৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৫ টাকা ২৬ পয়সা।

জেএমআই সিরিঞ্জ : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০৩ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ০৮ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ১৬ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ৬৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯১ টাকা ৩৬ পয়সা।

জেএমআই হসপিটাল : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ২৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৮ টাকা ৮৪ পয়সা।

ফার্মা এইড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৬৩ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০৫ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ১৫ টাকা ৬৩ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৪৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯৮ টাকা ৮৩ পয়সা।

এডভেন্ট ফার্মা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৮ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৯৭ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৯৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা।

সিলকো ফার্মা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৩ পয়সা।

অন্যদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৫ পয়সা। যা আগের একই সময়ে ছিল ৮০ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২১ টাকা ৯৫ পয়সা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.