প্রভিশন ঘাটতিতে শেয়ারবাজারের চার ব্যাংক

0

 

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: খেলাপিসহ ঋণমান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিত বা প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ৮টি ব্যাংক। এরমধ্যে চারটি ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে আটটি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা এই আট ব্যাংকের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড। বাকি চার ব্যাংকের মধ্যে বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেড।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য মতে জানা গেছে, ডিসেম্বর শেষে সরকারি ৪ বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বেসরকারি ব্যাংক এবং একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের সর্বমোট প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর শেষে যা ছিল ১৯ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। কিছু কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করায় পুরো ব্যাংকিং খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত ৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর পরেই রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংকটির ঘাটতি ৪ হাজার ৪২২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। তৃতীয় রূপালী ব্যাংকের ২ হাজার ৮১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৩৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

বেসরকারি ৩টি ব্যাংকের মধ্যে নানা সমস্যায় জর্জরিত ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি ৬ হাজার ৬১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৭১ কোটি ১৬ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এছাড়া বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এর প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

গত ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শ্রেণিকৃত বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। মোট ঋণের অনুপাতে ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর ২০২১ সাল শেষে ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা ঋণ স্থিতির বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছিল খেলাপি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.