ব্রোকার হাউসগুলোকে আইন মেনে আয় বাড়ানোর নির্দেশ

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, ব্রোকার হাউসের আয় বাড়াতে হবে এবং আয় বাড়াতে হলে লেনদেন বাড়ানো দরকার। তবে ব্রোকার হাউসগুলোকে অবশ্যই আইন পরিপালন করে চলতে হবে।

গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উদ্যোগে বিনিয়োগকারীদের তহবিল এবং শেয়ার নিরাপত্তা জোরদারকরণে ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, সিডিবিএলের এমডি ও সিইও শুভ্রকান্তি চৌধুরী। এ সময় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বিএসইসি ও ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্রোকারদের ব্যবসা বা আয় বাড়াতে হবে। আর বাড়াতে হলে লেনদেনও বাড়াতে হবে। ব্রোকারদের আয় বাড়লে তখন তারা ভিন্ন পথ থেকে ফিরে সঠিক ব্যবসায় মন দেবে।

ব্লক চেইন ব্যবস্থা নিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্লক চেইন টেকনোলজি বাজারে নিয়ে আসতে পারলেই স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। বাজারের জন্য ডিজিটালাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের কাজ আপনাদের সহায়তা করা, তবে কোন কাজে আপনাদের সহায়তা লাগবে তা বিএসইসিতে বলুন। আমরা আপনাদের সহায়তা করতেই আছি। তবে আপনাদের আইনের ভেতরে থেকেই কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার আবদুল হালিম বলেন, কমিশন চায় দেশের অর্থনীতির চেয়ে পুঁজিবাজার এগিয়ে থাকুক। আমরা সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ সব কিছুর নজরদারি করি। মার্কেটের ভালোর জন্য যা প্রয়োজন, সবকিছুই আমরা করছি।

তিনি আরও বলেন, মানুষের কাছে যে টাকা আছে (আমরা যেটাকে অলস মানি বলি), মানুষের সেই টাকা বিনিয়োগের জন্য বাজারে নিয়ে আসতে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। আস্থার অভাবেই বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসতে চান না।

আব্দুল হালিম বলেন, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর যে পরিমাণ ঋণ রয়েছে, তার বেশিরভাগই ডিএসইর ১২টি ব্রোকার হাউস এবং ১৫টি মার্চেন্ট ব্যাংকের। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ কমিয়ে এনেছে। ঋণে থাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ বিষয়ে আন্তরিকতাও ছিল না। এ কারণে এই সমস্যা থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো বের হতে পারেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.