বড় বিপর্যয়ের কবলে বিনিয়োগকারীরা

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: বিদায়ী সপ্তাহে (১৭-২১ জুলাই) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০ খাতের মধ্যে ২০ খাতেই শেয়ারদর কমেছে। ফলে শতভাগ বিনিয়োগকারী সাপ্তাহিক রিটার্নে বিপর্যয়ের কবলে রয়েছেন। ইবিএল সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সাপ্তাহিক রিটার্নে শতভাগ খাতের এমন ভয়াবহ বিপর্যয় সাম্প্রতিককালে আর দেখা যায়নি। অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা এমন বিপর্যয়কে করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের সংকট, শ্রীলংকা ভীতি ইত্যাদিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত কতিপয় সিদ্ধান্ত ঢালাওভাবে প্রচার করাও এমন বিপর্যয়কে ত্বরান্বিত করেছে। যেমন, নামাজের সময় মসজিদের এসি বন্ধ রাখা, এলাকাভিত্তিক ২ ঘন্টা লোড শেডিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচার-প্রচারণা জনমনে ভীতির সঞ্চার করেছে। তবে প্রজ্ঞাপন জারি না করেও মসজিদের এসি বন্ধ রাখা, এলাকাভিত্তিক ২ ঘন্টা লোড শেডিং ইত্যাদি করা যেতো।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহসাই বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ আমাদের দেশে লোড শেডিং একটি পরিচিত ও স্বাভাবিক ব্যাপার।

সাপ্তাহিক রিটার্নে লোকসানে থাকা খাতগুলো হলো: সিরামিক, ভ্রমণ ও আবাসন, সাধারণ বিমা, সেবা ও আবাসন, বিবিধ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, ট্যানারী, আর্থিক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, সিমেন্ট, জীবন বিমা বস্ত্র, প্রকৌশল, মিউচুয়াল ফান্ড, পাট, পেপার ও প্রিন্টিং, টেলিকমিউনিকেশন, ওষুধ ও রসায়ন এবং ব্যাংক খাত ।

খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসানে রয়েছে সিরামিক খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনছেন ৭.৬০ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসানে রয়েছেন ভ্রমণ ও আবাসন খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনছেন ৭.৩০ শতাংশ।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লোকসানে রয়েছেন সাধারণ বিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনছেন ৬.৫০ শতাংশ।

এছাড়া, বিনিয়াগকারীরা লোকসান গুণেছেন সেবা ও আবাসন খাতে ৬.৪০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৫.২০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪.৭০ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৪.৩০ শতাংশ, ট্যানারী খাতে ৪.২০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৩.৯০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৩.১০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.৯০ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ২.৯০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ২.৮০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ২.৬০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২.৫০ শতাংশ, পাট খাতে ২.৪০ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২.১০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ২ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১.৩০ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতে ১.৩০ শতাংশ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.