লুন্ঠনের দ্বিতীয় উৎস শেয়ারবাজার: ড. দেবপ্রিয়

0

 

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে অর্থনীতির বিকাশ শুরু হওয়ার সাথে সাথে বেড়ে যায় লুণ্ঠনও। সেই লুণ্ঠন সবচেয়ে বেশি হয় ঋণ খেলাপির মাধ্যমে। আর লুন্ঠনের দ্বিতীয় উৎস হচ্ছে শেয়ারবাজার। আশির দশকে ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটের (ডিএফআই) শিল্প সংস্থার মাধ্যমে ঋণ দেওয়া শুরু হয়। ওই সময় ভিত্তিহীন অনেক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এসব ঋণই খেলাপির প্রথম উৎস, যা আজও বিদ্যমান।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে ‘ইআরএফ ডায়ালগ’-এ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেছেন। ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৯৬ সালে ভিত্তিহীন কোম্পানিগুলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে সেই কোম্পানিগুলোকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এভাবে শেয়ারবাজার থেকেও অর্থ লুট হয়েছে।

সরকারি টাকায় প্রকল্প হচ্ছে লুণ্ঠনের আরেকটি মাধ্যম উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এখাতের ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠান সুবিধাভোগী। এসব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা না থাকায়, নির্বাচন ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদনশীল উদ্যোক্তা কমে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে প্রতিযোগিতা। এক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকলে ভবিষ্যতে জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি চাপে থাকলেও সঙ্কটে নেই। এই চাপ দীর্ঘ মেয়াদে চলতে থাকলে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে ভালো হবে না।

তিনি অভিযোগ করেন, যারা বলছে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে, তাদের জন্যেই পরিস্থিতি অস্থিতীশীল হবে। আগামী ২০২৩ কিংবা ২০২৪ সালের আগে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.