লেনদেনে সেরা আইটি খাত

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে আগের দিন সূচক কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছিল। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল।

গতকাল সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। খাতটি লেনদেনেও শীর্ষ স্থানে ছিল এবং এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এতে টাকার অঙ্কে বড় অংশ এ খাতে লেনদেন হয়েছে। অপরদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৭টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে এবং ৩০টির দর কমেছে ও বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। এ খাতে লেনদেন হওয়া ৬টি কোম্পানির মধ্যে ২টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ২টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, ব্যাংক এবং প্রকৌশলী খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা আর্থিক খাতে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ করে চতুর্থ স্থানে ছিল সিরামিক খাতের শেয়ার।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩০ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৪২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২১৬ দশমিক ২৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৭ দশমিক ২৮ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭২টি এবং কমেছে ৮৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৪৯টির। এদিন ডিএসইতে এডিএন টেলিকমের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন এডিএন ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ২৮টি, কমেছে ৩৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৩টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৮২ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৩০ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৪ দশমিক ২৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০২ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৬১ দশমিক ৫২ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.