শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে ৬১ ব্যাংককে বিএসইসির চিঠি

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে তালিকাভূক্ত এবং অতালিকাভুক্ত মোট ৬১টি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরদেরকে চিঠি দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে যে ২৮টি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠন করেনি তাদেরকে ফান্ড গঠনের জন্য এবং ৩৩টি ব্যাংককে মূলধনের ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে ৩৩টি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর/ সিইও বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিশেষ ফান্ড গঠনের জন্য এবং মূলধনের ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের জন্য ৩৩টি ব্যাংককে আলাদা আলাদা চিঠিট পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বছরে পর বছর ধরে আপনার আন্তরিক সহযোগিতা এবং অবিরাম সমর্থনের জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আপনার ব্যাংকের এমন ব্যতিক্রমী অবদানকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ব্যাংকের তালিকাভুক্তি এবং রাইট শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে প্রাথমিক মূলধন সহজতর করতে এবং বন্ডের জন্য আবেদন অনুমোদনের মাধ্যমে ব্যাংকের অতিরিক্ত টায়ার-I এবং টায়ার-II মূলধনের ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে অত্যন্ত আন্তরিক।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগই সাধারণ বিনিয়োগকারী। এদের দ্বারাই বাজার প্রভাবিত হয়, শেয়ারবাজারে সাদারণ বিনিয়োগকারীর হার মোট বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৮০%। দেশের শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এরই প্রেক্ষিতে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে ব্যাংকগুলিকে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠনের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যা শেয়ারবাজারের এক্সপোজার সীমার হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হবে না। ব্যাংকগুলি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসাবে কাজ করবে এবং উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসবে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা ও শেয়ার বাজারের উন্নয়নের স্বার্থে।

এছাড়াও, ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১, ২০১৩ সালে সংশোধিত, একটি ব্যাংকের স্টক মার্কেট এক্সপোজারের অনুমতি দেয় তার মূলধনের ২৫% পর্যন্ত। যার মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ রিজার্ভ এবং ধরে রাখা আয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু দেখা যায় যে অনেক ব্যাংকের এক্সপোজার সীমা সাধারণত সীমার নিচে থাকে।

চিঠিতে ব্যাংকগুলোর ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের প্রতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি। ব্যাংকগুলো নিয়ম সামর্থ অনুযায়ী শেয়ারবাজারকে সহায়তা করবে, একে অপরের অনুপ্রেরণা হিসেবেও কাজ করবে বলেও প্রত্যাশা করেন বিএসইসি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.