শেয়ারবাজারে স্বস্তির আভাস

0

ষ্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: চলতি বছরের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে মন্দাভাব ঝেঁকে বসে। রোজার মাসে কয়েকবার বাজার উত্থানের আভাস মিললেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সূচক একদিন বাড়লে তিন দিন পিছিয়েছে। তারপর ঈদের পর প্রথম দিনের লেনদেনেও স্বস্তির আভাস দেখা যায়। কিন্তু সেটিও স্থায়ী হয়নি। এক-দুদিন পরই বাজারে ফের পতনের ধাক্কা শুরু হয়।

এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাজারে স্থিতি ফেরাতে আসে নানা উদ্যোগ। অর্থমন্ত্রী নিজেই শেয়ারবাজারের গতি ফেরাতে সক্রিয় হন। পরের দিন সেই উদ্যোগের ফলস্বরূপ বাজারে বড় উত্থান মিলে। কিন্তু একদিন পরই সেই উত্থান ফের হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

তখনই কিছুটা সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে পাশে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক পদক্ষেপে শেয়ারবাজারে নতুন গতির দেখা মিলে। এরফলে বিদায়ী সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসই উত্থানের ঝলক দেখা যায় শেয়ারবাজারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আশার নতুন আলো সঞ্চারিত হয়। দীর্ঘদিন পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশ স্বস্তির আভাস দেখা যায়।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ মে-২ জুন) ২০ খাতের মধ্যে ২০ খাতেরই শেয়ারেই ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। আলোচ্য সপ্তাহে তালিকাভুক্ত ২০ খাতের শেয়ার দরই ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। কোন খাতেরই শেয়ার দর কমেনি। সব খাতের শেয়ার দর বাড়াতে ২০ খাতের বিনিয়োগকারীরাই সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় রয়েছেন। ইবিএল সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার তথ্য বলছে, চলতি বছরের মধ্যে কোন সপ্তাহে একযোগে ২০ খাতের শেয়ার দর বেড়েছে, এমন ঘটনা ঘটেনি। বছরজুড়েই বেশির ভাগ খাতেরই শেয়ার দর কমেছে। একক সপ্তাহে বেশির ভাগ খাতের শেয়ার দর বেড়েছে, এমন নজিরও খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল। তবে সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে ২০ খাতের শেয়ার দরে উত্থানের বিরল ঘটনা ঘটেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পেয়েছেন সাধারণ বিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা গুণছেন ৯.৪০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছেন পাট খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা গুণছেন ৯ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছেন জীবন বিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা গুণছেন ৮.৩০ শতাংশ।

এছাড়া, বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৮.১০ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৭.৮০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৭.৮০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৬.৩০ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৫.৩০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৫.১০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৩.৭০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩.৫০ শতাংশ, ট্যানারী খাতে ২.৮০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ২.৬০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২.৪০ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২.৩০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ২.২০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১.৯০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ১.৬০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১.৬০ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০.৮০ শতাংশ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.