স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : সোনা আমদানির লাইসেন্স নিয়ে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করার অভিযোগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের রিলায়েবল কমিউনিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাকিব আল হাসানের মালিকানায় থাকা দুই কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে। বিএসইসি জানতে চেয়েছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অনুমোদন না নিয়ে কীভাবে তারা ব্যবসা করে যাচ্ছে।
সাকিবের দুই কোম্পানি স্বর্ণের ফিউচার কন্ট্রাক্টের ব্যবসা করছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। ফিউচার কন্ট্রাক্ট হচ্ছে একটি চুক্তি, যেখানে ক্রেতা ভবিষ্যতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান সোনা নির্দিষ্ট দামে নির্দিষ্ট ক্রেতা থেকে কিনতে বাধ্য থাকেন। এই চুক্তিপত্র হস্তান্তর করা যায়। সরাসরি স্বর্ণ হাতে না রেখেও এই ব্যবসা করা যায়। এ ধরনের ব্যবসা শুধু কমোডিটি এক্সচেঞ্জ করতে পারে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে কমোডিটি স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। সাকিব বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স নিয়েছেন। সেই লাইসেন্স দিয়ে ফিউচার কন্ট্রাক্টের ব্যবসা করা যায় না।
বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ফিউচার কন্ট্রাক্টের অনুমোদন দেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা রাখে বিএসসি। অন্য কেউ এই লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।
যারা সোনার ব্যবসা করছে, তাদের আবার বিএসইসির অনুমোদন লাগে না। সে বিষয়ে শামসুদ্দিন বলেন, এটা নির্ভর করছে কী ধরনের ব্যবসা করা হচ্ছে। সব ব্যবসা করলে আমাদের কাছে অনুমোদন নিতে হবে না। কোন প্যাটার্নে করছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা গোল্ড ডিলিং লাইসেন্স নিয়ে যে ব্যবসা করি, সেটা সাকিব আল হাসানের আছে। তাকে সম্ভবত কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে এজন্য যে তিনি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবসাটা করছেন।”
এ বিষয়ে সাকিবের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি। ফোন করে এবং এসএমএস করেও তার সাড়া মেলেনি।
রিলায়েবল কমিউনিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির সোনা আমদানির লাইসেন্স নেই বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন,“আমাদের কাছে বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোম্পানির নামে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে।”