১১৬ ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি ৮৬৭৪ কোটি টাকা

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিদেবক: ২০১০ সালে শেয়ারবাজার বড় ধস নামে। সেই ধরে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নেগেটিভ ইক্যুইটি বেড়ে যায়। এই নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমান বেশিরভাগ ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক মূল কোম্পানির সহায়তায় কমিয়ে আনতে সক্ষম হলেও ১১৬টি ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যর্থ হয়েছে এই ১১৬টি হাউজের বর্তমান নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমান দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০১০ সালের পর দীর্ঘ ১২ বছর কেটে গেছে। কিন্তু ব্রোকারেজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর এই কঠিন অভিজ্ঞতা থেকে পরিত্রাণ পায়নি এখনও। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা যে মার্জিন ঋণ নিয়েছে তা বেড়ে অতিরিক্ত হওয়ার কারণে সেই অর্থ আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ব্রোকারেজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মোট নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমান ৮ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। ঋণাত্বক এই ইক্যুইটি থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে বিএসইসি।

সূত্র জানায়, অনুমোদিত ৪৬০টি ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ১১৬টি প্রতিষ্ঠান নেগেটিভ ইক্যুইটির বোঝা নিয়ে ভুগছে। ১১৬টি হাউজের মধ্যে ২৯টি মার্চেন্ট ব্যাংকের ঋণাত্মক ইকুইটির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৭৫টি ব্রোকারেজ হাউজের কাছে ৪ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ১২টি ব্রোকারেজ হাউজের কাছে ৯৮ কোটি টাকা ঋণাত্মক ইকুইটি রয়েছে।

বিএসইসি পর্যবেক্ষনে উঠে এসেছে, ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মধ্যে নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যা ২৭টি প্রতিষ্ঠানের। এই ২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টি ব্রোকার হাউজ এবং ১২টি মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা মোট নেগেটিভ ইক্যুইটির ৮৬ শতাংশ।

শেয়ারবাজারে মার্জিন হচ্ছে ব্রোকার হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক কতৃক ঋণ বা ধার। আপনি যতটুকু বিনিয়োগ করবেন তার অনুপাতে আপনাকে ঋণ বা ধার দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মার্জিন যত কম নিবেন তত ভাল। কারণ অতিরিক্ত ঋণের কারণে আপনি অতিরিক্ত ট্রেড নিতে পারবেন এবং যদি তখন লস হয় তাহলে একাউন্ট জিরো হতে সময় লাগবে না। সুতরাং লিভারেজ বা ঋণ যত কম নেওয়া যায় তত আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত।

মার্জিন নিয়ম অনুসারে, বাজারের খারাপ অবস্থা হলে যদি ব্রোকার হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক মনে করে যে হাউজের ঋণ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তখন সেই হাউজ ঋণ গ্রহিতা বিনিয়োগকারীকে ডাকতে পারবে। ডাকে সারা দিয়ে সেই বিনিয়োগকারী আরও নতুন করে বেনিয়োগ করবে। যদি বিনিয়োগকারী নতুন করে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ঋণদাতা ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক জোরপূর্বক সেই বিনিয়োগকারীর শেয়ার ফোর্স সেল করতে পারবে। নিজের টাকার নিরাপত্তার জন্য।

Leave A Reply

Your email address will not be published.