ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টকে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ বিএসইসির

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টকে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল রবিবার বিএসইসি এবং জাতীয় উপদেষ্টা বোর্ডের (এনএবি) যৌথ আয়োজনে ‘ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট; ব্রিজিং দ্যা গ্যাপ (Impact Investment; Bridging the Gap) শির্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

এনএবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহাদুর রেজার নেতৃত্বে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি পরিচালনা করেন বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বিএসইসি কর্তৃক সাম্প্রতিক টেকসই বন্ডের কথা উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বিএসইসি দ্বারা অনুসরণ করা ইএসজি অগ্রাধিকার ইস্যু সম্পর্কে কথা বলেন এবং তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলির স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে বিএসইসির প্রচেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ভবিষ্যতে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের জন্য বিএসইসি থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করেন এবং এই বিষয়ে যৌথ সহযোগিতার আমন্ত্রণ জানান।বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

কর্মশালায় ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের তাত্ত্বিক ও বৈশ্বিক কাঠামো এবং বাংলাদেশে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে এনএবির নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহাদুর রেজা, বাংলাদেশে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এবং এটি নিয়ে কাজ করার জন্য যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণাগত নোট প্রদান করেন। এরপর তিনি অংশগ্রহণকারীদের পরিচিতি পর্ব পরিচালনা করেন।

এনএবি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান, জিএসজির হেড অফ মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফাই ওয়েচায়াচাই, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম নেদারল্যান্ডের সামাজিক অর্থায়ন বিষয়ক ব্যবস্থাপক লরা ব্রাউনার এবং বিল্ড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এরাদ কাওসার তাদের ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট সংক্রান্ত্র তাদের উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

উপস্থাপকরা ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের জাতীয় কৌশল, দেশ ও বাংলাদেশের উদাহরণ সহ ইমপ্যাক্ট ইকোনমিক্সকে ত্বরান্বিত করা, ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের জন্য ইন্সট্রুমেন্টস, ইমপ্যাক্ট মেজারিং অ্যান্ড রিপোর্টিং, বিএসইসির বাস্তবায়িত ও চলমান উদ্যোগ এবং এটিকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করে তোলার চ্যালেঞ্জ এবং উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টকে ব্যবহারকারী বান্ধব করার জন্য সমস্ত জড়িত পক্ষের সমন্বিত পদ্ধতির এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতা দূর করার উপর জোর প্রদাণ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সকলকে একত্রে মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের বিষয়ে বিএসইসির উদ্বেগ ও উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন এবং প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করার জন্য বিএসইসির প্রতি আইএফসি এবং ইউএনডিপির সাম্প্রতিক যৌথ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.