ইস্যু ব্যবস্থাপকসহ এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজকে জরিমানা

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের বিরুদ্ধে জমির জাল দলিল, মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদন এবং শেয়ারের অর্থ জমার দেওয়ার মিথ্যা বিবৃতির প্রমাণ পেয়েছে নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন এবং প্রমাণিত অভিযোগের কারণে কমিশন কোম্পানিটির প্রত্যেক পরিচালক ও ইস্যু ব্যবস্থাপককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে।

এছাড়াও, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কোম্পানি সচিব প্রসপেক্টাসে স্বাক্ষরকারী হিসাবে তাদের প্রত্যেককে ২৫ লাখ টাকা জরিমানার মুখোমুখি করা হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে, কমিশন বুক-বিল্ডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আইপিওর মাধ্যমে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজকে অনুমতি দেয়া হয়। এতে শেয়ারের কাট-অফ মূল্য নির্ধারণের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করে।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী, সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকায় কিনতে পারবেন।

তবে, পাবলিক সাবস্ক্রিপশন শুরুর একদিন আগে অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসি আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় এবং অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

বিএসইসির তদন্তের আগে, ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

এফআরসি অভিযোগ করেছিল, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ শেয়ারের বেশি মূল্য পাওয়ার জন্য সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি করেছে। কাউন্সিল মে মাসে বিএসইসির কাছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রসপেক্টাস এবং নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা প্রদান করে।

কোম্পানির প্রসপেক্টাস অনুসারে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২১-২১ অর্থবছর পর্যন্ত পাঁচ অর্থবছরে এর সম্পদের মূল্য ১১৯ শতাংশ বেড়েছে। অধিকন্তু, ২০২১ অর্থবছরে সম্পদ মূল্য ৭৩ শতাংশ বেশি দেখিয়েছে।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ১৯৭০ সালের জুলাই মাসে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৮ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। এটি প্রাথমিকভাবে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ক্রিম, চোখের পণ্য, ইনজেকশন সহ ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনের সাথে জড়িত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.