ডিভিডেন্ড না দেওয়া কোম্পানিকে জরিমানা করবে বিএসইসি

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবন্টিত ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) জমা দেয়নি এমন কোম্পানিগুলোকে অডিট রিপোর্টের পরই জরিমানা করা শুরু হবে। বিনিয়োগকারীদের সম্পদ অন্যের কাছে থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) কতৃক আয়োজিত “সিএমএসএফের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমএসএফ চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে সিএমএসএফ-এর রিস্ক ম্যানেজম্যান্ট কমিটি (আরএমসি) চেয়ারম্যান ডঃ সৈয়দ আমিনুল করিমের স্বাগত বক্তব্যের পর বিওজি এবং আরএমসি সদস্য ডাঃ শেখ তানজিনা দীপ্তির সিএমএসএফের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো” শিরোনামে একটি মূল প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে শেয়ারবাজারে ২২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রথম বছর এই ফান্ড থেকে মুনাফা এসেছে ১১ কোটি টাকা। এ বছর আরও বেশি আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। যারা এখানে বিনিয়োগে আসবে তারা ২ কোটি টাকা দিলে আমরাও ২ কোটি টাকা দিবো। অনেকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য দিচ্ছে না। সিএমএসএফের প্রতিষ্ঠার পর আমরা দেখতে পেয়ে প্রায় ৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। যা আগে বিভিন্নভাবে বিতরণ করা থেকে অনিহা ছিল। আশা করছি এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহক জাহারা ইমামের মত তার প্রাপ্য বুঝে পাবে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সব দিক থেকেই দেওয়াল দিয়ে একটি স্থিতিশীল শেয়ারবাজার তৈরী করার চেষ্টা করছি। শেয়ারবাজারে সরকারী বন্ডগুলোর লেনদেন শুরু হলে লেনদেন হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে আরও অনেক বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আমাদের মার্কেটে যে আস্তা সংকট কাজ করছে। সেখান থেকে বিনিয়োগকারিদের আস্তা ফিরে পাবে সেটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের চেষ্টার সফলতা পাবো। কারণ আমাদের কাজের ক্ষেত্রে কোন কাজটা আগে করবো সেটা আপনাদের অর্থাৎ বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকেই পরামর্শ নিবো। আগে কি যারা লুটপাট করছে তাদের নিয়ে কাজ করবো নাকি কোম্পানিগুলোর সম্পদ রক্ষায় কাজ করবো। সেটা আপনারাই সিদ্ধান্ত দিবেন।

এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট যেভাবে আগাচ্ছে এটা আরও ভালো করতে পারতো। আমাদের বিনিয়োগকারীরা না বুঝে বিনিয়োগ করে, অনেকে আবার এটাকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ধরে নেয়। এটা কখনও কাম্য নয়। বড় ব্যবসায় অগ্রসর হলে এই বাজার থেকে ফান্ড নেওয়া ছাড়া কঠিন হবে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা আছে। এখানে আরও বেশি সচ্ছলতা থাকা দরকার। এছাড়াও প্রোমোশনাল হওয়া দরকার, কারণ ভালো কাজগুলো সবার জানা উচিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও দেশের প্রথ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, তফসিলি ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংককে দীর্ঘ মেমেয়াদি দায় থেকে মুক্তি দিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেটকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.