পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে ভাটা

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে ভাটা পড়েছে। যে ২/৪টা কোম্পানি আসছে সেগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অথচ পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজারের গভীরতা বাড়ানো জরুরি। এজন্য ভালো ভালো কোম্পানির আইপিওর (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) অনুমোদন অপরিহার্য। কিন্তু গত এক বছর ধরে বাজারে ভালো কোনো কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন হয়নি। শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, চলতি বছর বা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো কোম্পানির আইপিও অনুমোদন হচ্ছে না। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির তথ্য মতে, বর্তমানে প্রটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামের একটি বিমা কোম্পানির আইপিও আবেদন কমিশনে জমা আছে। প্রতিষ্ঠানটি আইপিওর মাধ্যমে এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

এছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে চায় বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ৩৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়। অথচ প্রতিষ্ঠান দুটির আবেদনে ত্রুটি রয়েছে। ফলে তাদের নতুন করে সংশোধনীসহ আবেদন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা নেই কমিশনে।

২০২২ সালে ছয়টি প্রতিষ্ঠান আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। চলতি বছরের (২০২৩ সাল) সাড়ে নয় মাসে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটি পুঁজিবাজার থেকে ৭০ ও ১৬ কোটি টাকাসহ মোট ৮৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। বছর পার হতে এখনও বাকি তিন মাস। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের আবেদন কমিশনে জমা নেই।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দু-তিনটি কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা রয়েছে। কিন্তু নিয়ম মেনে কোনো প্রতিষ্ঠান আসছে না। যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে এলে অনুমোদন দেওয়া হবে।

‘আবেদন যদি সঠিক হয়, অতি অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হবে। কিন্তু এ মুহূর্তে আইপিও দেওয়ার মত কোনো কোম্পানি নেই।’

পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার আটকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় বাজারের গতি ফেরাতে ভালো ভালো কিছু কোম্পানি প্রয়োজন। তারা আসলেই বাজার চাঙা হবে। স্রোতের মতো বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসবেন।

তাদের মতে, বর্তমানে বাজারে একটি জিনিসের অভাব রয়েছে। সেটি হলো- ভালো কোনো কোম্পানি না থাকা। এ শূন্যতার কারণে পুঁজিবাজার জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না। অন্যদিকে, আস্থা হারিয়ে দিনের পর দিন পুঁজিবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। বছরের পর বছর টালমাটাল রয়েছে বাজারটি।

সার্বিক বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাজারে গভীরতা নেই। বাজারে গভীরতা বাড়াতে নতুন নতুন ভালো কোম্পানি আনা দরকার। বিনিয়োগকারীরা যাতে নিজের ইচ্ছা মতো বিনিয়োগ করতে পারেন।’

বর্তমানে বাজারে একটি জিনিসের অভাব রয়েছে। সেটি হলো- ভালো কোনো কোম্পানি না থাকা। এ শূন্যতার কারণে পুঁজিবাজার জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না। অন্যদিকে, আস্থা হারিয়ে দিনের পর দিন পুঁজিবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। বছরের পর বছর টালমাটাল রয়েছে বাজারটি

বিএসইসির সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি সব ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জকে সক্রিয়ভাবে (ক্যাম্পেইন) প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা পাশের দেশ নেপালের তুলনায় কম। কাজেই বাজারের গভীরতা বাড়াতে নতুন নতুন ভালো কোম্পানিকে বাজারে আনার চেষ্টা করতে হবে। ভালো কোম্পানি না আসলে বাজার স্থিতিশীল হবে না।’

নতুন কোম্পানির পুঁজিবাজারে না আসার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে একটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং তা নিয়ে নানা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে নতুন কোম্পানি এখন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। উদ্যোক্তারা চিন্তা করছেন, টাকা উত্তোলনের পর যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগ করতে না পারেন, তাহলে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারবেন না। লভ্যাংশ দিতে না পারলে কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। এ সমস্যায় যাতে পড়তে না হয় সেজন্য তারা বিনিয়োগ করছেন না।

বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপ জানায়, আইপিও আসলেই বাজার থেকে টাকা চলে যায়- এটা ভুল লজিক। আমরা বিশ্ব পুঁজিবাজারে দেখেছি, আইপিও কখন আসবে এটা নির্ভর করে ইস্যুকারীর ওপর। যদি ভালো কোম্পানি হয়, তাহলে সময় কোনো বিষয় নয়, বাজারে এলেই হলো। ভালো কোম্পানি এলে বাজার ধুম করে বেড়ে যাবে। যারা প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগ করতে চান, তারা কিন্তু ভালো কোম্পানি আসার অপেক্ষায় থাকেন। তারা এখন স্কয়ার ফার্মা কিংবা জিপি কিনবেন না। কারণ, এগুলো ফেয়ার ভ্যালুর মধ্যে আছে। তারা নতুন এবং ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছেন।

এশিয়ার অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জের তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ভালো মানের আইপিও আসেনি— স্বীকার করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, ‘আমাদের বাজারে এখন ৬৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু আইপিও আনছে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। অথচ পাশের দেশ ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ২১৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। তাদের বাজারে ২২১৩টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জে আমাদের চেয়ে বেশি কোম্পানি রয়েছে।’

ডিএসই চেয়ারম্যান মনে করেন, শক্তিশালী পুঁজিবাজার তৈরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নতুন নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি অপরিহার্য। এটি হলে কোম্পানির উন্নয়ন ও উৎপাদনে গতি ফিরবে। এটি দেখে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারমুখী হবেন।

আমাদের বাজারে এখন ৬৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু আইপিও আনছে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। অথচ পাশের দেশ ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ২১৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। তাদের বাজারে ২২১৩টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জে আমাদের চেয়ে বেশি কোম্পানি রয়েছে। নতুন নতুন কোম্পানি বাজারে আনতে ডিএসই একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে

‘নতুন নতুন কোম্পানি বাজারে আনতে ডিএসই একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ), আইসিএবি ও এফআরসি’র সহযোগিতায় তা বাস্তবায়ন করা হবে। ভালো ভালো কোম্পানি আনতে ইতোমধ্যে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং ছোট ছোট কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সভা করেছি। এ দুই সেক্টরের ভালো ভালো কোম্পানিকে বাজারে আনার জন্য কাজ চলছে।’

ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, বাজারের স্থিতিশীলতা ও গভীরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে বিএসইসির সঙ্গে কাজ চলছে।

নতুন নতুন কোম্পানিকে বাজারে আনার বিষয়ে কাজ করছে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে কোম্পানিগুলোকে কর সুবিধা দিতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিএসইসি, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছে। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় নতুন নতুন কোম্পানি বাজারে আসতে চাচ্ছে না।’

বিএসইসি’র তথ্য মতে, বর্তমানে প্রটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড আইপিও অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে প্রটেকটিভ ইসলামী লাইফ এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড ৩৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুটির আবেদনে জটিলতা রয়েছে। তাদের নতুন করে এবং সঠিকভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

গত পাঁচ বছরে বাজারে এসেছে যেসব কোম্পানি

২০২৩ সাল : চলতি বছরে মাত্র দুটি কোম্পানি বাজারে এসেছে। তারা হলো- মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড ও বিমা খাতের কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানি দুটি পুঁজিবাজার থেকে ৭০ ও ১৬ কোটি টাকাসহ মোট ৮৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে।

২০২২ সাল : মোট ছয়টি কোম্পানি এ বছর তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিগুলো আইপিওর মাধ্যমে ৬২৬ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৬০ টাকা উত্তোলন করেছে।

২০২১ সাল : তালিকাভুক্ত হয়েছে ১৪টি কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে- তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম, ই-জেনারেশন, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, এসিএমই প্যাস্ট্রিসাইডস, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানিগুলো শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১২৩৩ কোটি ৩৬ লাখ নয় হাজার ৪০ টাকা উত্তোলন করেছে।

২০২০ সাল : আট কোম্পানি উত্তোলন করেছে ৯৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৪০ টাকা। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, রবি আজিয়াটা, অ্যানার্জি প্যাক জেনারেশন ও মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড।

২০১৯ সাল : আট কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করেছে ৫৫২ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- স্কয়ার নিটিং কম্পোজিট, রানার অটোমোবাইলস, নিউ লাইন ক্লোথিংস, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, রিং শাইন টেক্সটাইল ও এডিএন টেলিকম।

২০১৮ সাল : ১৩ কোম্পানি বাজার থেকে ৫৪৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- কুইন সাউথ টেক্সটাইল, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, বসুন্ধরা পেপার মিলস, এসকে স্টিম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, আমান কটন ফাইবার্স, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, এমএল ডাইং, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, কাট্টালি টেক্সটাইল, এসএস স্টিল ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.