পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলবে টেকনো ড্রাগস

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতের প্রাথমিক পাবলিক অফারিংয়ের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে ওষুধ কোম্পানি টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এ লক্ষ্যে আগামী ১৪ অক্টোবর ঢাকায় একটি রোড শো করবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজারে থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানিটি কারখানা নির্মাণ ও সংস্কার করবে। যন্ত্রপাতি কেনা, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও বরাদ্দ বাবদ খরচ করবে। নরসিংদী জেলায় অবস্থিত কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে ১৯৯৬ সালে।

প্রিমিয়ামের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এই টাকার মধ্যে ১৫ কোটি টাকা দিয়ে গাজীপুরে বিকে বাড়িতে নতুন কারখানা তৈরি করবে। নরসিংদির কারখানা সংস্কারে ব্যয় করবে ২৫ কোটি টাকা। নতুন যন্ত্রপাতি কিনবে ২৭ কোটি টাকার। কোম্পানি ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করবে ৩০ কোটি টাকা। আর ৩ কোটি টাকা খরচ করবে আইপিও বাবদ।

২০১০ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানটি জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০৩০ সালে আয় হয়েছে ২৭৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তাতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। ৩০ জুন বছরে কোম্পানির পুনঃমূল্যায়নের পর শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএনভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা।

দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল ওষুধ প্রস্তুতকারকারী প্রতিষ্ঠানটির এর আগের বছর আয় হয়েছিল ৫০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেই বছর কর-পরবর্তী প্রকৃত মুনাফা হয়েছিল ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সে বছর শেয়ার প্রতি আয়(ইপিএস) ছিল ৫ টাকা ১০ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন ছাড়াই এনএভি ছিল ২২ টাকা ৫৭ পয়সা।

পুঁজিবাজারে আসার আগে নিয়ম অনুসারে টেকনো ড্রাগস আগামী ১৪ অক্টোবর ঢাকায় রোডশোর আয়োজন করছে। যেখানে এটি প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কোম্পানটিকে তুলে ধরবে। রোড শোতে, মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজার, মিউচুয়াল ফান্ড ও যৌথ বিনিয়োগ স্কিম এবং স্টক ডিলারসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা রোডশোতে অংশ নেবেন।

এরপর কোম্পানির বিডিং অনুমোদনের পর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ারের জন্য একটি অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ কমে প্রাথমিক শেয়ার কিনতে পারবে।

প্রতিষ্ঠানটিকে বাজারে আনতে ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে। আর বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ইস্যুটির রেজিস্টার হিসেবে কাজ করছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.