শেয়ারবাজারে বিমার দাপট

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েই চলছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসের মতো চতুর্থ কার্যদিবস আজ বুধবারও (১৩ সেপ্টেম্বর) দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমাখাত দাপট দেখিয়েছে। এতে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম ২০ শতাংশের ওপরে বেড়ে গেছে।

বিমা খাতের কোম্পানিগুলো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখালেও অন্য খাত তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। ফলে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়লেও মূল্যসূচকে তা খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারছে না। অবশ্য বিমার শেয়ার দাম বাড়ায় লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে।

বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। সেইসঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে।

এর আগে সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তবে, দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ বিমা কোম্পানি। আর মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দামে বড় উত্থান হওয়ায় মূল্যসূচকেও বড় উত্থান হয়।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেরও ওপরও। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত বেশিরভাগ বিমা কোম্পানি দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখলেও, অন্য খাতগুলো তা পারেনি। লেনদেনের শেষদিকে বিমা বাদে অন্য খাতের বেশি কিছু প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকা থেকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে। এতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখীতাও কমে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৩টির এবং ১৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিমা কোম্পানি রয়েছে ৩৭টি। আর দাম কমার তালিকায় বিমা কোম্পানি আছে ১২টি।

বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এমন দাপট দেখানোর দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দমমিক ৮২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা খাত দাপট দেখালেও গত কয়েক কার্যদিবসের মতো লেনদেনের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫০ কোটি ৭৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেমিনি সি ফুড।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ইউনিক হোটেল, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরাকেল ইন্ডাসিন্ট্রজ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৭টির এবং ৮৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.