সপ্তাহের শেষ তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থাপন

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : আতঙ্ক কাটিয়ে টানা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাক স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসার গুঞ্জন, রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতি সুদের হার বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা শঙ্কা ও আতঙ্ক দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। টানা দুই সপ্তাহ পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসও দরপতন হয়।

তবে গত মঙ্গলবার বিমা খাতের ওপর ভর করে পতন থেকে বেরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ফেরার ইঙ্গিত দেয় শেয়ারবাজার। পরের কার্যদিবস বুধবার বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমলেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার আবারও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছ বিমা কোম্পানিগুলো। এতে সূচকের মোটামুটি বড় উত্থানের দেখা মিলেছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১টির এবং ১৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় বিমা কোম্পানি রয়েছে ৪৮টি। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় একটি বিমা কোম্পানিও নেই।

বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৬৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- দেশবন্ধু পলিমার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সোনালী আাঁশ, জেমিনি সি ফুড, এমারেল্ড অয়েল এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯টির এবং ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.