স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের শেয়ারদর ও লেনদেন সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক বেড়েছে বলে মনে করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে কোম্পানি দুটির শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিক হওয়ার পেছনে কোনো ধরনের মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জটি।
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ : বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০৩ টাকা ৪০ পয়সা। এর পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৪৭ টাকা ২০ পয়সায়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকেও একই পরিমাণ লোকসান ছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১১ টাকা ৮৬ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের ‘নো ডিভিডেন্ড’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১৮ পয়সা। ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ১১ টাকা ৮৭ পয়সা।
বিচ হ্যাচারি : বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৫ টাকা ১০ পয়সা। এর পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ২০ পয়সায়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সায়। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচ্য অর্থবছরে ইপিএস হয়েছে ৯৩ পয়সা। যা আগের অর্থবছর শেষে ছিল ২২ পয়সা। ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫৮ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ডের সুপারিশ করেছে বিচ হ্যাচারির পরিচালনা পর্ষদ।
