৩ বছরে ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকসান ২৬০ কোটি টাকা

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: উদ্যোক্তাদের ঋণ জালিয়াতির কারণে ধুঁকছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ২৫ শতাংশই খেলাপি। ব্যাংকটি গত বছরে ৩ হাজার ২৬০ কোটি লোকসান করে। ফলে শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে, ন্যাশনাল ব্যাংকের কোনো সভায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া যোগ দিতে পারবেন না ব্যাংকটির পরিচালক রন হক সিকদার। গত ২৬ জুলাই ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রন হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত রন হক সিকদারের পরিচালক নিযুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এই অনুমোদন না দেয়া পর্যন্ত তিনি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অংশ নিতে পারবেন না।

গত বছরের ২৫ আগস্ট ব্যাংকের ৩৯তম এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। এজিএমের আগে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় নিয়ম অনুযায়ী তৎকালীন পরিচালক ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও পরিচালক মাবরুর হোসেন এবং রন হক সিকদার পদত্যাগ করেন। পরের দিন এজিএমে ভোটে বাদ পড়েন মোয়াজ্জেম হোসেন ও মাবরুর হোসেন। তবে শেয়ারধারীদের ভোটে নির্বাচিত হয় রন হক সিকদার। আইন অনুযায়ী এজিএমে অনুমোদনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও তাতে অনুমোদন দেয়নি।

এ নিয়ে জানতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত ব্যাংকের এজিএমে নির্বাচিত ও পুনর্নির্বাচিত পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এজন্য তাদের সব ধরনের নথি দ্রুত জমা দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকটির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার, পরিচালক পারভীন হক সিকদার, রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার। তারা সবাই এক পরিবারের সদস্য। এছাড়া পরিচালক হিসেবে আছেন জাকারিয়া তাহের ও খলিলুর রহমান। পাশাপাশি স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলী খান, সিকদার গ্রুপের কর্মকর্তা নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা শফিকুর রহমান।

নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকে এক পরিবার থেকে চারজনের পরিবর্তে তিনজন পরিচালক থাকা যাবে। ফলে একজন পরিচালককে এমনিতেও সরে দাঁড়াতে হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.