বছরের প্রথম দিনেই হতাশ বিনিয়োগকারীরা

0

স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে উত্থান প্রবণতায় ২০২৩ সালের শেষ কর্মদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিল ২০২৪ সালের প্রথম কর্মদিবসেও শেয়ারবাজার ভালো থাকবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের সেই আশায় ছন্দপতন হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের প্রথম দিনের লেনদেন আজ উত্থান প্রবণতার মধ্যেই শুরু হয়েছিল। লেনদেন শুরুর ২১ মিনিটের মাথায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৯ পয়েন্টের বেশি বেড়ে লেনদেনও হচ্ছিল। এই সময়ে বড় বিনিয়োগকারীদের সেল প্রেসার বেড়ে যায়। ফলে সূচক চাপে পড়ে আগের দিনের কাছাকাছি নেমে আসে।

দুপুর সোয়া ১২টায় সূচক আবারও প্রায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। এই সময়েও বড় বিনিয়োগকারীরা কম দামের কিছু শেয়ারের সেল প্রেসাল বাড়িয়ে দেয়। ফলে বাজারে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দেয়। এই সময়ে সূচক আবারও ধাক্কা খেয়ে নিচে নেমে যায়।ফলশ্রুতিতে বেলা পৌনে ২টায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্টের বেশি নেমে যায়।

তারপর বিমার শেয়ারে বড় উত্থানে সূচক আবারও উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিমার শেয়ার ঠিকই ওপরে উঠে যায়। কিন্তু ডিএসইর সূচক আর ওপরে উঠতে পারেনি। দিনশেষে সাড়ে ৩ পয়েন্টের বেশি হারিয়ে সূচকের পতন থামে।

আজ ডিএসইতে ৩৩৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৮টির।

আজ ডিএসইতে ৪৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ২১৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬৬০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার।

এদিন ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৪২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯১ পয়েন্টে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

আজ সিএসইতে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের।

আগের দিন সিএসইতে ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৫১টির, কমেছিল ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.