স্টকরিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে কোম্পানির শেয়ারের উপর আরোপিত ফ্লোর প্রাইস আজ তুলে দেয়া হয়েছে। তবে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারদরের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হয়নি। সেগুলো কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে– এমন প্রশ্নে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, কোম্পানিগুলোর ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের ভিত্তিতে বাজার মূল্যসূচকে অবদান, মার্জিনযোগ্য শেয়ারগুলোর মধ্যে বিক্রির চাপ বেশি, মূল্য-আয় অনুপাত বেশি–এমন বেশ কিছু দিক বিবেচনায় নিয়ে তালিকাটি করা হয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, এই মুহূর্তে এই ৩৫ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে যদি দরপতন হয়, তাহলে এগুলোর শেয়ারহোল্ডাররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাছাড়া বাজার মূল্যসূচকে এসব শেয়ারের অবদান বেশি বিধায় দরপতন হলে সূচকে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে কিছু শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এসব শেয়ারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি। তবে পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যে ৩৫ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়নি, কমিশন যে ভিত্তিতে এগুলোকে আলাদা করেছে বলে দাবি করেছে, তার সঙ্গে মিল নেই।
বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ারের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেনের প্রথমার্ধে এসব শেয়ারের বিক্রেতাশূন্য অবস্থার বিপরীতে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৫টি আদেশের বিপরীতে ১ হাজার ১১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল। এর মধ্যে শুধু ফ্লোর প্রাইসেই শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল ১ হাজার ৫২ কোটি টাকার। এককভাবে ১ হাজার ৪৩৭ বিনিয়োগকারীর থেকে সর্বোচ্চ ১২৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের। বিএটির ৭০৮ বিনিয়োগকারীর থেকে পৌনে ২৮ কোটি টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৬৪২ বিনিয়োগকারীর ২৬ কোটি টাকার, ফরচুনের ৬১৪ বিনিয়োগকারীর ২৬ কোটি টাকার, সোনালী পেপারের ৪০০ বিনিয়োগকারীর ২৫ কোটি টাকার, গ্রামীণফোনের ৩২৯ বিনিয়োগকারীর সাড়ে ২৩ কোটি টাকার এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানির ২২১ বিনিয়োগকারীর প্রায় ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল। যে ৩৫ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে, সূচকে তাদের অবদান ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে শীর্ষ ১৫টির অবদান সাড়ে ২৩ শতাংশ। কাট্টলী টেক্সটাইল, ন্যাশনাল পলিমার, ইনডেক্স এগ্রোসহ বাকি ২০ শেয়ারের সূচকে অংশ মাত্র পৌনে ৪ শতাংশ।